বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩২ অপরাহ্ন
মোঃ অনিকুল ইসলাম উজ্জ্বল নিজস্ব সংবাদদাতা পটুয়াখালী:
চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে চলছে গলাকাটা রমরমা ব্যবসা
দাড়িয়াল ইউনিয়ন জনকল্যাণ সংস্থা
পটুয়াখালী জোনাল অফিস।
রোগীদের সেবা দেওয়ার নামে এই চক্রটি গ্রামের সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন ধরনের, কৌশল অবলম্বন করে
হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা এই প্রতারক চক্রের বিষয়ে একাধিক ভুক্তভোগী সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যে তারা ডাঃ না হয়েও ডাঃ মোঃ নাসির মাহামুদ এমবিবিএস (এ, এম) মেডিসিন ,মেডিকেল অফিসার দাড়িয়াল ইউনিয়ন জনকল্যাণ সংস্থা। ডাঃ নাসির মাহমুদ তিনি বলেন মানুষের শরীরে যত প্রকার রোগ আছে সকল রোগের চিকিৎসা আমি দেই ।
এ বিষয়ে দাড়িয়াল ইউনিয়ন জনকল্যাণ সংস্থার পরিচালক মোঃ আল আমিন এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সে বলেন পটুয়াখালী শহরে বড় বড় সাংবাদিক আমার আত্মীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধব এখানে আমাকে কেউ কিছু করতে পারবেন না।
এবং তিনি আরো বলেন ডকুমেন্ট ‘স নিতে হলে আমাকে দুদিন সময় দিতে হবে তার কথামতো তাকে দুইদিনের ও বেশি যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে।
এরপর থেকে দীর্ঘ একমাস ধরে সে সাংবাদিকদের ডকুমেন্ট দেওয়ার কথা বলে সে সকাল বিকাল করে সংবাদ কর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন।
ঐ প্রতিষ্ঠানের অথবা তার যে সকল ভুয়া ডিগ্রিধারী এমবিবিএস (এ ,এম) মেডিসিন মেডিকেল অফিসার , সহ তার প্রতিষ্ঠানের যে সকল কর্মরত ডাঃ রয়েছেন তাদের সঠিক কোন কাগজপত্র ও প্রমাণ দিতে পারেননি।
বিষয়টি যাচাই করার জন্য একদল সংবাদকর্মী তাদের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে রোগীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের কাছ থেকে জানতে চান যে এখানকার ডাঃ কোথা থেকে এসেছে অথবা কোন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন এবং কোন বিষয়ের উপরে FCPS অথবা স্পেশাল ডিগ্রি নেওয়া আছে এ বিষয়ে স্থানীয়রা কিছুই জানেন না কোন বিষয়ের উপরে চিকিৎসা দিতে পারবেন তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তারা।অথচ রোগীদেরকে ভুয়া ডিগ্রী দেখিয়ে দিনের পর দিন দিয়ে যাচ্ছেন ভুল চিকিৎসা
তাদের মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী রোগী তাদের নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক, সংবাদকর্মীদের কাছে বলেন এখানে চিকিৎসা নিয়ে বুঝতে এসে দেখলাম এই ডাক্তারদের আমরা এর আগে কোথাও কখনো দেখিনি এবং আমার মনে হয়।
এরা একটি প্রতারক চক্র এদের কাছে যাওয়া মাত্র বিভিন্ন ধরনের টেস্ট দিয়ে থাকেন তবে টেস্টের কোন প্রকার রিপোর্ট ডায়গনস্টিক সেন্টার ও ল্যাব এর মাধ্যমে না করে তারা তাদের মন গড়া রিপোর্ট তৈরি করে হাতে লিখে দেন। রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন হাজার হাজার টাকা এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের ভুয়া ডিগ্রিধারী এমবিবিএস ডাঃ মোঃ নাসির মাহমুদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের কোন ল্যাবের প্রয়োজন হয় না।
যেকোনো ধরনের টেস্ট এর রিপোর্ট আমরা তাৎক্ষণিকভাবে হাতে তৈরি করে দিতে পারি।
এবং তার চিকিৎসার প্রেসক্রিপশন বা ডাইরিতে যে ডিগ্রী উল্লেখ করা আছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এখন আর বর্তমানে বাংলাদেশে কোন ডিগ্রির প্রয়োজন হয় না।
আপনাদের যদি কোন কিছু জানার প্রয়োজন থাকে আপনি আমাদের অফিসে গিয়ে পরিচালকের কাছ থেকে জেনে আসবেন। এই কথা বলে তিনি তার চেম্বার থেকে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যান।
এবিষয়ে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন
ডাঃ মোঃ খালেদুর রহমান মিয়া তার কাছে জানতে চাইলে সে সাংবাদিকদের বলেন এই ধরনের কোন সংস্থা পটুয়াখালীতে আছে বলে আমার জানা নাই এবং সে আরো বলেন এই সংস্থার ডাক্তারদের যে ডিগ্রী দেখলাম এমন ডিগ্রিধারী ডাক্তার আমাদের পটুয়াখালীতে আছে কিনা সেটা আমার সন্দেহ লাগে।
তবে আপনাদের তথ্য যদি সঠিক প্রমাণিত হয় ।
সেক্ষেত্রে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে আমরা দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেব , এমন আশ্বাস সাংবাদিকদের দিয়েছেন তিনি।
এই প্রতারকদের হাত থেকে সমাজের গরীব অসহায় সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে হবে।পটুয়াখালী সিভিল সার্জন মোঃ খালেদুর রহমান মিয়াকে সকল ধরনের প্রমাণ দেওয়া শর্তেও তিনি কোন প্রকার পদক্ষেপ নেয়নি ঐ সংস্থার বিরুদ্ধে।এ সকল বিষয়ে তদন্ত করে ভুয়া ডাক্তার ও প্রতিষ্ঠানের মালিক তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ ও ভুক্তভোগীরা।