বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
দৈনিক দিনের সময় অনলাইন ডেস্ক:চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি। সামনা-সামনি দেখাও হয়নি মা-ছেলের। অবশেষে দীর্ঘ সাড়ে ৭ বছর পর অপেক্ষার অবসান হলো; সরাসরি দেখা হলো মা ও ছেলের।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পৌঁছার পর মাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে জড়িয়ে ধরেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বড় ছেলে তারেক রহমান। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় তাকে শুভেচ্ছা জানায় যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ বিমান ‘রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ করে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের ছয়জন সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন— অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিক, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।
এছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ছোট পুত্রবধূ সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
উল্লেখ্য, চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। দুবাইয়ে যাত্রাবিরতি শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সে সময় বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান।