বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছেন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচির সমাবেশ শুরু হয়েছে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এরইমধ্যে ছাত্র-জনতার বিপুল অংশগ্রহণে লোকে লোকারণ্য শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকা।
অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ শাহরিয়ারের বাবা মো. আবুল হাসানের বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি চাই এই খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হোক। আমরা কোনো অজুহাত শুনতে চাই না। যদি এই খুনিদের বিচার না করা হয় আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো। আমাদের রাস্তায় নামাবেন না। আমরা চাই আমাদের সন্তান হত্যার বিচার করুন।
দুদিনের নাটকীয়তার পর সোমবার গভীর রাতে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা থেকে সরে এসে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ সমাবেশের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর আগে সোমবার রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেই ‘জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ দেওয়ার কথা জানালে গভীর রাতে জরুরি বৈঠক করে এই কর্মসূচি ঠিক করে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া প্ল্যাটফর্মটি।
‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে মঙ্গলবার ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাত্র-জনতা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকে। শহীদ মিনারের কর্মসূচি ঘিরে সেখানে শিক্ষার্থীদের হাতে শোভা পাচ্ছে নানা ধরনের ব্যানার ফেস্টুন আর পতাকা। ‘মুজিববাদ নিপাত যাক’, ‘দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘বিপ্লবীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না’, ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ এমন নানা প্লাকার্ড হাতে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল তিনটা থেকে শুরু হবে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচির মূল অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত থাকবেন সংগঠনের নেতারা।
সমাবেশ সূত্রে জানা গেছে, ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়ার পর মধ্যরাত থেকেই শহীদ মিনার এলাকায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। সোমবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই কর্মসূচিতে সারাদেশের দেড় থেকে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের সমাগম হবে।