মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-চিকিৎসক, কর্মকর্তা-নার্স ও কর্মচারীরা।
বুধবার (৪ নভেম্বর) এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে এমন দাবি জানানো হয়। এছাড়াও আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদ, ভারতের আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদ বন্ধ, ভারতীয় পণ্য বর্জন, পতিত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টার প্রতিবাদ, বিএসএমএমইউর বিভিন্ন হলের নাম ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া জুলাই-আগস্টের শহীদদের নামে নামকরণসহ বিভিন্ন দাবিতে এ মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক-চিকিৎসক, কর্মকর্তা-নার্স ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা নিন্দনীয়। এখনও পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। তারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, স্বৈরাচারী পরিবারের নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম থাকবে না। অবিলম্বে বিএসএমএমইউর নাম পরিবর্তন করতে হবে। একইসঙ্গে বিভিন্ন হলের নাম ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া জুলাই-আগস্টের শহীদদের নামে নামকরণের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
এসময় বিএসএমএমইউ এর বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক-চিকিৎসক, কর্মকর্তা-নার্স ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার-১ ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন টিটো বলেন, আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অটুট থাকব। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুরের নামে থাকতে পারে না। অবিলম্বে এটি পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, আমাদের যতগুলো হল আছে সেগুলোর নাম পরিবর্তন করে জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদদের নামে দিতে হবে। আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক-চিকিৎসক, কর্মকর্তা-নার্স ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব বলেন, বিগত সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির ফলস্বরূপ ভারত বাংলাদেশের দূতাবাসের উপর হামলার দুঃসাহস দেখাতে পারে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হোক।
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক-চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় তারা, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, নিপাত যাক নিপাত যাক’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি-আজাদি’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’ স্লোগান দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএসএমএমইউর ডা. জাফর ইকবাল, উপ-রেজিস্ট্রার ডা. এস এম কবীর আহমেদ রিয়াজ, উপ-রেজিস্ট্রার সাবিনা ইয়াসমিন, মো. ইয়াহিয়া খান প্রমুখ।