সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন
ঝলকাটি প্রতিনিধি: সমতার ভিত্তিতে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে থাকবে মানবিকতা, মূল্যায়ন, গ্রহণযোগ্যতা ও অধিকার। কোন বৈষম্য থাকবে না। সবাই কাধে কাধ মিলিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করবে। তাহলে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের রক্তের সঠিক মূল্যায়ন দেয়া হবে। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ঝালকাঠিতে দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। জেলা জামায়াতের আমীর এডভোকেট হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসাইন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগরী আমীর জহির উদ্দিন বাবর, বরিশাল জেলা আমীর অধ্যাপক আ. জব্বার, পিরোজপুর জেলা আমীর তোফাজ্জল হোসেন ফরিদ, নায়েবে আমীর মাসুদ বিন সাইদী, ঝালকাঠি জেলা নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট বিএম আমিনুল ইসলাম, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ ফরিদুল হক, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হাই।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় শহরের পুর্বচাঁদকাঠিস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরো বলেন, ২০০৬সালের ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫আগস্ট পর্যন্ত দেশের মানুষ ছিলেন জালিম সরকারের কারাগারে। খুন, গুম, নির্যাতনে মানুষ দুর্বিসহ জীবনযাপন অতিক্রম করেছে।
মেধাকে মূল্যায়ন না করে দলের অন্ধ ভক্ত হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে তাদেরকে সুযোগ সুবিধা ও চাকুরী দেয়া হতো। এ বৈষম্য ছাত্র ও যুবকরা মেনে নিতে পারেনি। কারণ সাধারণত ছাত্র, যুবক ও তরুণরা প্রতিবাদী হয়। এজন্যই বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে নেমে হাজারো ছাত্র-জনতা জীবন উৎসর্গ করেছে। লক্ষাধিক ছাত্র-জনতা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তবুও স্বৈরাচার সরকারকে পতন করতে পেরে তারা সন্তুষ্ট।
আহতরা জানিয়েছে, প্রয়োজনে অপর পা, অপর হাত, অপর চোখ সব বিলিয়ে দিয়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে প্রস্তুত ছিলাম। তাদের এ রক্তদান ইতিহাসে সাক্ষী হবে থাকবে। তাদের রক্তের বিনিময়েই স্বৈরাচার মুক্ত একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেলাম। আন্দোলনে শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা, শোকসন্তপ্ত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।