বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তাদের বলা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) দুপুরে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। যাতে ২২টি জেলার ডিসি ও ইউএনও অংশ নেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান।
এ বিষয়ে মাহমুদুল হোসাইন খান গণমাধ্যমকে বলেন, অনেকগুলো বিষয়ে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। যার মধ্যে রয়েছে, ঝড়টি মোকাবিলায় তারা যেন তাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। এনজিওসহ সবাইকে সম্পৃক্ত করে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
‘শুকনা খাবার, দিয়াশলাই ও মোমবাতি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। উদ্ধারকারী বোট, ট্রলার ও গাড়িগুলো এমনভাবে প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে তা যে কোনো মুহূর্তে কাজে লাগানো যায়। চালকদের মোবাইল নম্বরসহ সবকিছু হাতের কাছে রাখতে বলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, বিদ্যুৎ যদি চলেও যায়, কোনো কারণে যদি মোবাইলের সংযোগ না-ও থাকে, তারা যেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেদের কাজগুলো করে যান, সেভাবেই তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার টিমকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখবেন এবং যোগাযোগ রক্ষা করে চলবেন।
যারা আসতে চাইবেন না তাদের ব্যাপারে এসময় তিনি বলেন, প্রথমে মানুষকে নিয়ে আসার জন্য মোটিভেশন (উৎসাহ) করতে বলা হয়েছে। তাতে যদি সফল না হয়, তাহলে জোর করে হলেও তাদের নিয়ে আসতে হবে।
তিনি জানান, খাবার পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট পর্যাপ্ত পরিমাণে দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে সব জায়গায় চলে গেছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রীসহ মেডিকেল টিমও প্রস্তুত আছে।
এদিকে, শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় মোখার সবশেষ অবস্থান তুলে ধরতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আবহওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, ‘মোখা’ সিডরের মতো আই ফরমেশন বা চোখাকৃতির দিকে এগোচ্ছে। উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার গতি ঘণ্টায় আট থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে। তিনি আরও বলেন, এমন গতি অব্যাহত থাকলে আগামী রোববার দুপুর নাগাদ উপকূলে আঘাত হানতে পারে মোখা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ উপকূলে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস শুরু হবে। উপকূলে আঘাতের সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিদ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।