বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১৪ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: তীব্র গরম ও ঈদে খাবারের পরিবর্তনের কারণে নারায়ণগঞ্জে বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ জেলার সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে আসছে। তাদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি।
গত ১০ দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত আড়াই হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় ঈদের ছুটি বাতিল করে সেবা দিচ্ছেন নার্স ও চিকিৎসকেরা।
-নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গত সাতদিন ধরে একটি শয্যাও খালি নেই। প্রতিটি শয্যায় ভর্তি রোগীর চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি।
জানা গেছে, রমজানের মাঝামাঝি সময় থেকে নারায়ণগঞ্জে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। রোগী ভর্তির সংখ্যা প্রতিদিন বাড়তে থাকে। তবে ঈদুল ফিতরের আগের দিন থেকে এই হার মারাত্মক আকার ধারণ করে।
হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা জানান, এখানে প্রতিদিন গড়ে ১২৫ থেকে ১৫০ ডায়রিয়ার আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা নিচ্ছে। জরুরি বিভাগে রোগীদের ভিড়ে জায়গা ফাঁকা থাকছে না। সেখানে চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র দিয়ে রোগীদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। গুরুতর আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করে পাঠানো হচ্ছে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে। চিকিৎসার পর রোগীর অবস্থা ভালো হলে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
c এদিকে মাত্র ১০ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে এক সঙ্গে এত রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স ও চিকিৎসকরা। রোগী সামলাতে এবার ঈদের ছুটিও বাতিল করে নার্স ও স্টাফদের দায়িত্বে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা জানান, হঠাৎ আবহাওয়ার তারতম্য ও ঈদ উপলক্ষে খাবারের পরিবর্তন হওয়ায়, এত মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে সবাই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে।
চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা আরো বলেন, এখানে ওষুধ, স্যালাইন ও ইনজেকশন পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ আছে। কোনো রোগীকে রাজধানীর কলেরা হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজন পড়েনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন মুশিউর রহমান বলেন, ডায়রিয়ার চাপ একটু বেশি। দিনে ৭০ থেকে ১০০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি আসছে। কেউ কেউ একটু সুস্থ হয়ে চলে যাচ্ছে, বাসায় গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদের ভর্তি রাখা হচ্ছে। আর যাদের ছেড়ে দেওয়ার মতো, তাদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।