বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০০ অপরাহ্ন

গল্পকার ফাহাত বিনের কল্পকাহিনী “কিউরেটরের আত্মীয়”

জোবায়েত হোসেন রিমনঃ কিউরেটরের আত্মীয় ফাহাত বিন: এক. আকাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে মেঘ জমছে ধূসর কালো মেঘ, জলোচ্ছ্বাসের মতো মেঘ যা আগে কখনো দেখেনি গ্রামের মানুষ বেশ ছুটাছুটি করছে ওরা। গুটিমেরে বসে আছে গারো-সুন্দরী মেয়েটি দাওয়ার একপাশে, কাদামাটিতে তুষ দিয়ে কেউ লেপছে মাটির দেয়াল ।

সবচেয়ে জনবহুল গ্রাম “জলহাটা” এরা ধর্মে প্রচণ্ড বিশ্বাসী। সিকিতে পুরাতন মাকড়সার জাল সরাচ্ছে নিপুণ হাতে যে মেয়েটি তার নাম “লাইসা” লাইসা পৃথিবীতে কোন অনন্যা নামের মেয়ের মতো অতি-আকর্ষণীয় সুন্দরী শতাব্দী পর পর জন্ম নেয় এমন দিপ্ত-সুন্দরী । শিল্পনিখুঁত চমৎকার কোন প্রজাতির মতো সুন্দর তার লাবন্য পৃথিবীর কোন আশ্চর্য সুন্দর! এটি পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরের নক্ষত্রের গল্প। জুলফি পাতার বিছানা সবচেয়ে আরামদায়ক পাতার বিছানা, এলিয়াদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা এলিয়া সে বিব্রত বোধ করছেন অতিথিকে কিভাবে আসন দিয়ে সম্মানিত করবে, পাতার বিছানা তুলে আবার বিছাচ্ছে। ওরা মানুষের মতো দেখতে কিন্তু মানুষ না, ওরা এলিয়া। এলিয়া হচ্ছে, আমারা যেমন মানুষ ওরা তেমন এলিয়া।

গ্রাম, শহর, নগর ওদের ওখানেও আছে, কিন্তু আমাদের মত না, দূরবিস্তৃত গ্রাম ছোট ছোট শহর আমাদের পৃথিবীর মতোই বৃক্ষ-রাজী বন-বনাদী নদী-নালা ওখানেও দীঘির টলমল জলে শৈবালের উপর মাছ ঝাঁপ দেয়। মেঘের ফাঁকে তাঁরা দেখা যাচ্ছে, আশ্চর্য রকমের সুন্দর দৃশ্য, রাতে মনে হয় আকাশ হাতের কাছে নেমে এসেছে, এক নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্রে লাফ দিয়ে চলে যাওয়া যাবে চাইলেই, ছোঁয়া যাবে নক্ষত্রের পিঠ। নভোশ্বর, পৃথিবী থেকে কোন মানুষ যদি যায় ফিরে আসতে চাইবেনা ক্ষুধায় মারা গেলেও নভোশ্বরের রূপ চুম্বক আকর্ষণীয় রূপ! মহাশূন্যে যে ‘এসগারডিয়া’ নামক কৃত্রিম ভূমি স্থাপন করা হয়েছে সেখানে রাতের বেলায় উন্মুক্ত আকাশের নিচে এক কাপ গরম কফি খেতে পারলে কেমন হত? এলিয়ারা প্রতাহ্য মুগ্ধপ্রফুল্লতা অনূভুত করে তবে তারা এক কাপ কফি দিয়ে নয় এরা খায় মধু, শরমদ মদের মতো কিন্তু নেশা হয়না।

দুই. পাখিদের উপস্থিতি সুখের, মাধুরি গেয়ে যায়…. বাতাসের বেগ-ও তেমন নেই। প্রকৃতিক পরিবেশে মনোহর চারিদিক। ক্ষেতে ফসিল বুনা হয় উদ্ভিদ ফল দেয় ভরপুর। সকলের মুখেই হাসি কোন বেদনার ছাপ নেই, আজ নতুন এক পৃথিবী নামক গ্রহের গল্প বলবে আত্মীয়, ওখানে-ও নাকি প্রাণের অস্তিত্ব, সবাই বিস্ময়কর হচ্ছে! এ গ্রহ ছাড়াও অন্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে নাকি? গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে গুজবের মতো ছড়াতে লাগলো পৃথিবী নামক গ্রহের কথা।

আমরা ‘মানুষ’ ওরা ‘এলিয়া’ এলিয়াদের আচরণ একটু অন্যরকম যা মানুষের আচরণের সাথে মিলেনা ওরা বেশ শান্তিকামী ওরা নিজেদের মধ্যে দ্বিধা-ধন্দে জড়াতে চায়না। পৃথিবীতে যেমন যন্ত্র বিজ্ঞানী মন্ত্র বিজ্ঞানী ওদের ওখানে শান্তি বিজ্ঞানী। ওদের শাসনকর্তা, গৃহকর্তা, হর্তা-কর্তা চোর নয় অবিবেচক নয় , কারণ ওদের নভোশ্বরে যাকাতের বিস্ময়কর নিয়মে সেখানে অর্থাভাবে পরতে হয়না কাউকে তারপরও অনেকে ঐশ্বর্য জীবন যাপন করতে ভালোবাসেনা দরিদ্রতা বেছে নেয় নিজের হাতেই। অতি নিষ্ঠা ও ত্যাগীরা দরিদ্র হয়ে থাকে অদ্ভুত নিয়ম ঐসব ত্যাগীদের জন্যই সমাজের উচ্চ আসন। কারন, ধরাহয় এর লোভ লালসা কম, আশ্চর্য নিয়ম ! একজন সমুদ্র পাড়ের মানুষ কতইনা সুন্দর দৃশ্য দেখতে পারে প্রতিদিন, পাহাড়িরা দেখে পাহাড়ের দৃশ্য মনোরম। মন প্রাণ জুড়িয়ে যায় নভোশ্বরের রূপ দেখলে।

মহাবিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অগণিত তারকা রাজি, গ্রহ, নক্ষত্র পুঞ্জ সৃষ্টির সমারোহে কোথায় যে কোন রহস্য লুকায়িত কেউ জানেনা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া। আমাদের জানার আগ্রহ থাকলেও অনেক কিছু জানতে পারবোনা কারণ “নভোশ্বর” নামে গ্রহটি বিজ্ঞানের দূরদৃষ্টি চোখ কখনো তা আবিষ্কার করতে পারবেনা। পৃথিবীর কোন মানব ঐখানে কোনদিন যায়নি যাওয়া সম্ভব না এই গ্রহটির নাম “নভোশ্বর” ইশ্বরের খুব কাছাকাছি বলে নভোশ্বর। আকাশের দিকে তাকালে ওরা ইশ্বরকে দেখতে পায় ‘নভো’ মানে আকাশ, ইশ্বর মানে সৃষ্টিকর্তা ওরা বিশ্বাস করে ঐ আকাশেই ওদের ইশ্বর লুকিয়ে আছে। মহাবিস্ফোরণের কেন্দ্র থেকে এটি সবচেয়ে দূরে এর গতি ও ঘূর্ণন অন্য সব গ্রহ নক্ষত্র থেকে আলাদা। ওরা এতটাই আস্তিক মাবুদের অসন্তুষ্টি একমুহূর্ত কামনা করে না। ওদের মাঝে বিজ্ঞানের কিছু ভুল ধারণা লুকিয়ে আছে ঐ লুকায়িত মহা ঘটনা কোনদিন বেড়িয়ে আসুক তারা চায়না এর মধ্যে একটি হল;- পৃথিবীতে যেমন সূর্য দিনের বেলায় মাথার উপর আসে ওদের এখানে আসে দীর্ঘ কালক্ষেপণ করে তাই তারা ভাবে এটা ইশ্বরের চোখ , আশ্চর্যের বিষয় ওরা সূর্যকে তখন পূজা করেনা তখন তারা ভয়ে নম্র হয়ে থাকে ।

ধর্মকে নিয়ে তর্কবিতর্ক মহা অপরাধ, পৃথিবীতে যেমন শান্তি বিরল নবশ্বরে অশান্তি বিরল। একজন নাস্তিককে তারা ঘৃণা করে না বিশ্বাস নিয়ে ধাপাধাপি চাপাচাপি ওরা পছন্দ করেনা। নভোশ্বেরে ধর্মের অভাব নেই কিন্তু এরা এক ধর্মের লোক অন্য ধর্মের মানুষদের ভালোবাসে। এলিয়ারা ভাবে, সকল এলিয়ারাই এক সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি তাই আমাদের মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে তাই বলে তাদের বিরুদ্ধে উগ্র মনোভাব হতে পারিনা কারণ সৃষ্টিকর্তা এই ঘৃণার অপরাধ কখনোই ক্ষমা করবেনা। সবকিছু চাপিয়ে দেয়া যায় কিন্তু বিশ্বাস চাপিয়ে দেয়ার জিনিস না। বিশ্বাস চাপিয়ে দিলেই নভোশ্বরে সৃষ্টি হবে বোমা, বারুদ, অশান্তির রাজ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ। একজনের ভুল চিন্তা তার নিজের কাছে সঠিক আরেকজনের সঠিক তার কাছে হতে পারে বেঠিক।

আশ্চর্য স্বভাব এলিয়াদের এরা ধর্মান্ধ হওয়ার পরে-ও সবকিছু বুঝতে চেষ্টা করে। নভোশ্বরে একজন মাত্র প্রেসিডেন্ট এদের আলাদা কিছু নিয়মনীতি এদের জীবনধারণকে সুন্দর করে রেখেছে । হঠাৎ করে বৃষ্টি পরা শুরু করলো, আবাস দেখে বুঝাযাচ্ছে সমস্ত নভোশ্বর ভিজিয়ে একাকার করে ফেলবে , আলেয়ার আলোর মতো আপছা আলো অন্ধকারে বৃষ্টির ফোটা হিরের খণ্ডের মতো দেখায়। আত্মীয়রা যখন আসে নভোশ্বরে আলোর খণ্ড ও বৃষ্টির ফোটা পরে, এটা তাদের আগমনের পূর্বাবাশ। আজ একটু অন্য রকম, কেন? বুঝা যাচ্ছেনা। এ গ্রামের নাম জলহাটা কারণ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নদী নদীই তাদের শস্য উৎপাদনে সহয়তা করে সেচের পানি নদীর মাছ গোছল আর পানির সকল প্রয়োজন মেটায়।

নদীর নামেই গ্রামের নাম জলহাটা। বেশ জনবহুল নয় পৃথিবীতে থেকে কয়েকশো গুণ বড় কিন্তু সর্বমোট এলিয়ার সংখ্যা বড়জোর ষাট লক্ষ হবে। গ্রামের সরু পথ দিয়ে আসছে এলিয়া, কেউ কেউ পায়ে হেঁটে নদী পার হচ্ছে নদীতে পানি কম জলহাটা নদী। সবাই লাইসাদের বাড়ির উঠানে গিয়ে হাজির বিভিন্ন গ্রাম থেকে ছুটে আসা মানুষ বেশ উৎসাহ উৎসুক নিয়ে জুলফি পাতার নরম বিছানায় জড়সড় হয়ে বসছে। কোন পৌঢ়ার তর্জণি ধরে দুইবছরের কোমল আধুলি শিশু লাইসাদের বাড়ির দিকে এগিয়ে আসছে হাতে তার কিছু খাবার, অবসরে কিছু খেয়ে নিবে বলে। লাইসাও বেশ মেহমান প্রিয় এলিয়া তাকে সবাই ভালোবাসে, নভোশ্বর অথবা পৃথিবীতে সুন্দর হয়ে জন্ম নেয়া ভাগ্য নিয়ে জন্ম নেয়ার মতো যেন সমস্ত কিছুর কাছেই সে সুন্দর গ্রহনযোগ্য। সুন্দর যা করে তাই সুন্দর, ভুল করলেও সুন্দর। সবাই বসার স্থান খুঁজছে, লাইসা পশ্চিমের দেউড়িটা খুলে ফেলার ব্যাবস্থা করছে আজকে এলিয়াগণ বেশি হয়ে গেছে তাতে সমস্যা নেই লাইসা সব গুছিয়ে নেবে। যার আসার কথা তিনি এখনো আসছেনা।

অপেক্ষায় কেউ ধৈর্য হারাচ্ছেনা। আকাশে একটা গর্জন হবে এই মূহুর্তে, সবাই ধীর হয়ে তাকিয়ে আছে আকাশের রং খানিকটা পরিবর্তন হচ্ছে কেমন জমকালো প্রসন্ন আবহাওয়া সৃষ্টি হচ্ছে অদ্ভুত আরাম বোধ করে সবাই। অনন্যা সুন্দরী লাইসা হাসছে বিপদ কেটে সুখ আসলে যেমন হাসি তেমন আত্মমুগ্ধ হাসি হাসছে। আবার আকাশের রং পরিবর্তন কালো হচ্ছে দীঘির পঁচা জলের মতো কালো কতক্ষণ পর আত্মীয় এসে নভোশ্বরে পা রাখলেন সবাই জয়জয়কার ধ্বনিতে স্বাগত জানালেন একসাথে সবাই অন্যারকম দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন প্রশ্নবিদ্ধ চোখ দিয়ে? একজন এলিয়া প্রশ্ন করেই বসলেন, আপনার সাথে উনি কে? আত্মীয় সহজ ভাবেই উত্তর দিলেন, ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ তার সমন্ধে আজকে বলবো।

তিন. উনার হাতে দুই পটলা কি লুকিয়ে দেখা গেল আরো অনেকেই আসছে একহাজার বছরের এক এলিয়া বৃদ্ধের মতো এগোচ্ছে। এসেই সহস্র আবেগ দিয়ে মহাজাগতিক কিউরেটরকে বললো, আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। কিউরেটর উত্তরে বলেন, আপনার উপরেও, আপনি আসুন সম্মানিত। কিউরেটর গল্প বলা শুরু করলেন, বৃদ্ধ, কৃষক, কিশোরী, তরুণ, নাবালিকা, মিশ্রিত জাত সকল এলিয়া অনিমেষ, নৈঃশব্দে শুনছে। কিউরেটর আবেগ ঝরা কন্ঠে পৃথিবীর গল্প বলা শুরু করলেন, পৃথিবী কেমন, পৃথিবী কি, কারা থাকে, কেমন রীতি, কেমন পরিবেশ।

মানুষ নিয়ে বলা শুরু করলো, কত মহৎ ওরা কতটা মানবিক এদের হৃদয় ভালোবাসায় ভরা এরা একে অন্যের সুখে জীবন ত্যাগ দেয় এরা অভয়ে হাঁটে প্রেমের পথে ফুলের সৌরভে ছড়িয়ে এদের মনে এদের ঔদার্য আবেগ অনুরাগ যেন পুস্পপরাগ এদের গুণগ্রাহী করে শেষ করা যাবেনা। লাইসাদের চাতালে বসে আছে কিউরেটর দুইজন একজন সারকথা বলছে অন্যজন তন্ময় হয়ে বসে আছে হাতে পিঁপড়ার পুতলা কতক্ষণ পর এগুলো খুলে সবাইকে দেখাবে। দুইশ আড়াইশ এর বেশি এলিয়া জমায়েত হয়েছে এদের বসতি ঘন না। তার জন্য এলিয়ার সংখ্যা এতেই বেশি।

লাইসাদের ঘর ছোট একখান বসতি মাটির দেয়াল উপরে ছাউনি জুলফি পাতা লম্বা ভারি ও মোলায়েম পাতা । মানুষের রূপ কেমন জানতে চাইলো এক এলিয়া। -কিছু জিনিসের বনর্ণা দেয়া যায়না শুধু বলবো এরা অতি সুন্দর এমন সুন্দর যা পুরো নভোশ্বরে নাই, তোমাদের সবমিলিয়ে যত সুন্দর পৃথিবীর একটি মানুষ তারচেয়েও সুন্দর। মারহাবা মারহাবা বলে সকলেই সমস্বরে বলতে লাগলো জয় হোক মানুষ জাতির। ওদের মুখখানা ভারী হয়ে গেল কেমন বিমূঢ় বিবশ হয়ে গেল ওদের মন চেতনায় উজ্জীবিত হলো কেমন তবে মানুষ? দেখতে পাওয়ার প্রচন্ড ইচছা ওদের হৃদয়কে ক্লান্ত করে তুললো।

একজন দাঁড়িয়ে হস্যরসে বলেই ফেললো, আচ্ছা আত্মীয় ওরা কি লাইসার চাইতেও সুন্দর? তোমাদের পৃথিবীতে যেতে খুব ইচ্ছা হচ্ছে তাইনা? আমারও আসতে ইচ্ছে হচ্ছিলো না কিন্তু আমি চলে আসলাম কারণ ওরা নতুন কিছু পেলে আবিস্কারের নেশায় ডুবে যায়। সবাই হেসে কুটিকুটি (এটি যদি সত্য-ও না হয় তবু রূপকথার একটি চমৎকার চিরস্মরণীয় গল্প হিসেবে থাকবে তাদের কাছে)। আরেকজন প্রশ্ন করার জন্য দাঁড়িয়ে বললো, আচ্ছা ওদের কি খারাপ কিছু আছে? আরেক এলিয়া পিছন থেকে থাবড় দিয়ে বলে এই কি বলিস তুই (যেন মানুষের কোন খারাপ নেই) কিউরেটর

প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক: সাংবাদিক এ.আর.এস.দ্বীনমোহাম্মদ

Please Share This Post in Your Social Media

উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি :বীরমুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব আলী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক :সাংবাদিক এ.আর.এস.দ্বীন মোহাম্মদ
প্রধান কার্যালয় : বুরোলিয়া তালুকদার পাড়া, মোশারফ প্লাজা ৩য় তলা ,গাজীপুর  সদর, গাজীপুর   ।
মোবাইল: ০১৭৪৬৪৯৪৬১০,০১৯৯৫৯০৮০৬৩,০১৯৮৫১৮৫৮৮৪
কারিগরি সহযোগীতায় : দ্বীনিসফট